[Valid Atom 1.0]

Tuesday, April 21, 2015

রেসিপিঃ বুটের ডাল ও গরুর গোসত

বুটের ডাল দিয়ে গরুর গোসত আমার পছন্দের খাবারের একটা! (হা হা হা, আসলে দুনিয়ার সব খাবারি আমার পছন্দের) আমি চান্স পেলে এই খাবারটা খেতে চাই। তবে এই ধরনের কম্বিনেশনের রান্না হোটেলে হয় বলে এখনো দেখি নাই, বাসাই একমাত্র ভরসা! বাংলাদেশের হোটেল মালিকরা বড্ড বেরসিক, তারা শুধু খালি বুটের ডাল রান্না করেন! এবং মুগ ডালের সাথে খাসীর গোসত রান্না করে থাকে কিন্তু গরুর গোসত দিয়ে কিছু মিশিয়ে রান্না করতে ইচ্ছুক নয়। গরুর গোসতের ঝাল বা ভুনাই যেন তাদের এক মাত্র রান্না! আরে গরুর গোসতের সাথে কত কি দিয়ে রান্না করা হয়! এবং সব গুলোই সুস্বাদু!
চলুন আজ আপনাদের এমনি একটা রান্না দেখাই, আমি নাম দিয়েছি ‘রাফ এন্ড টার্ফ’! বুটের ডাল এবং গরুর গোসত মিক্স। এই রান্নাটা আমি আমাদের পরিবারে অনেকবার রান্না করতে দেখেছি এবং আমার আম্মা বিশেষ করে এটা এমন ভাবে রান্না করতেন যে, সকালেও আমরা রুটি দিয়ে এই তরকারী খেতে পারতাম। বিশেষ করে রুটি বা পরোটা দিয়ে এই খাবারের জুড়ি নেই। চলুন কথা বলে আর কি হবে, সরাসরি দেখে নেই!
উপকরন ও পরিমানঃ  
(আমার কিছু গোসত ও বুটের ডাল কম ছিল, তবুও আমি হাফ কেজির পরিমান দেখিয়ে দিচ্ছি)
– গরুর গোস্তঃ হাফ কেজি
– বুটের দালঃ হাফ কেজি
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ বড় তিনটে (দুইটা দিয়ে বেরেস্তা বানিয়ে নিতে হবে)
– গরম মসলা (৩/৪টা এলাচি, দুই/তিন্টে এক ইঞ্চির দারুচিনি)
– আদা বাটাঃ দেড় টেবিল চামচ
– রসুন বাটাঃ দেড় টেবিল চামচ
– কাঁচা মরিচঃ ৩/৪টা (ঝাল বুঝে)
– মরিচ গুড়াঃ হাফ চা চামচ (ঝাল বুঝে)
– হলুদ গুড়াঃ এক চা চামচের কম
– জিরা গুড়াঃ হাফ চা চামচ (না হলে নাই)
– দুই চামচ সিরকা (না হলে নাই, সে ক্ষেত্রে আগুন/পানি/সময় একটু বেশি লাগবে মাত্র)
– লবনঃ পরিমান মত
– তেলঃ সয়াবিন তেল (তেল কমেই রান্না করা ভাল, তেল একটু বেশি দিলে রান্না দেখতে ভাল দেখায়, স্বাদও বাড়ে এটা সত্য কিন্তু তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয় বলে জানা যায়)
– পানিঃ পরিমান মত
প্রনালীঃ
গোসত স্লাইস করে কাটা
এই ধরনের রান্নায় গোসতের হাড় না নেয়াই ভাল। গোসত গুলোকে আপনি চার কোনা করে কেটে নিতে পারেন। স্লাইস/পাতলা হলে সব ছেয়ে ভাল।
ডাল ভিজিয়ে রাখা
রান্না শুরুর আগেই ডাল গুলো ভাল করে ধুয়ে একটা পাত্রে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ডাল মশৃন হবে এবং রান্না সময় বাঁচবে।
বেরেস্তা করে নেয়া, উপরিউক্ত উপকরন যোগাড় করে রান্না শুরু করার সময়ে প্রথমে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বেরেস্তা বানিয়ে নিন।
মুল রান্না 
বেরেস্তা তুলে রাখার পর, সেই তেলে আরো সামান্য তেল দিয়ে সামান্য লবন যোগে কিছু পেঁয়াজ কুঁচি, গরম মশলা (এলাচি, দারুচিনি) ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাল করে ভেজে পেঁয়াজ কুঁচি গুলো হলদে করে নিতে হবে।  এবার সেখানে আদা, রসুন বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষন ভেজে তাতে এক কাপ পানি দিতে হবে।
এবার সেই কাষানোতে লাল মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া ও জিরা গুড়া দিতে হবে, ভাল করে কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিতে হবে। সব মশলা, ভেজষ মিশে একটা চমৎকার ঘ্রান বের হবে।
বার গরুর গোসত দিয়ে দিন।

মাধ্যম আঁচে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষন জ্বালের পর দেড় কাপ পানি দিন এবং সিরকা দিয়ে দিন (সিরকা না থাকলে হাফ চামচ চিনিও দিতে পারেন, আর চিনি না দিতে চাইলে কিছু বেশি সময় জ্বাল দিতে হবে মাত্র)

এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১৫/২০ রাখুন। আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। যদি পানি কমে যায় কিন্তু গোসত নরম না হয় তবে আরো পানি দেয়া যেতে পারে।

ঠিক এই রকম অবস্থায় এসে যাবে, গোসত মোটামুটি নরম এবং স্বাদ টের পারেন। তেল উঠে যাবে।
এবার বুটের ডাল দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এবার আবারো দেড়/দুই কাপ পানি দিন।এবং আবারো ঢাকনা দিন। আবারো মিনিট ১৫/২০ লাগতে পারে। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না, পানি শুঁকিয়ে হাড়িতে লেগে যেতে পারে। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না।
কেমন ঝোল রাখবেন সেটা আপনি নিজেই নির্ধারন করুন। লক্ষ রাখবেন বুটের ডাল নরম হবে কিন্তু পুরা গলে যেন না যায়।এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। না লাগলে, ওকে। সব ঠিক থাকলে এবার বেরেস্তা গুলো ছিটিয়ে দিন এবং ভাল করে মাধ্যম আঁচে মিশিয়ে নিন।

ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আমি তেল কমে রান্না করেছি, আপনি চাইলে আর একটু তেলে শুরু করতে পারেন, বাটিতে তোলার পর আরো ভাল দেখাবে।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আমি তেল কমে রান্না করেছি, আপনি চাইলে আর একটু তেলে শুরু করতে পারেন, বাটিতে তোলার পর আরো ভাল দেখাবে।

রেসিপিঃ মুগ ডাল গোশত

ডাল বাঙ্গালীদের প্রিয় খাবারের একটা। ডাল ছাড়া বাঙ্গালীদের দিন পার করা কষ্টকর। খেতে বসে ডাল না পেয়ে বাকা ত্যাড়্যা কথা বলার মানুষ এই বাংলাদেশে কম নাই! তবে বেশির ভাগ মানুষ পাতলা ডালের কঠিন ভক্ত। তবে অন্যান্য ডালের ভক্ত সংখ্যাও কম নয়! মুগ ডাল বাংলাদেশের একটা অভিজাত ডাল। ঘ্রান এবং স্বাদে অন্য ডালের চেয়ে একটু উচ্চু পর্যায়ে আছে বলে আমি মনে করি।
মুগ ডালের নানান রান্না আপনাদের দেখিয়েছি, চলুন আজ আরো একটা রান্না হয়ে যাক। মুগ ডালের রান্নায় একটা কাজ আগেই করে নিতে হয় সেটা হচ্ছে, মুগ ডাল ভেঁজে নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে তার পর রান্না করতে হয়। ভাঁজার সময়ে মুগ ডালের ঘ্রান রান্নাঘরে একটা আলাদা আনন্দ এনে দেয়। চলুন দেখে ফেলি।
পরিমান ও উপকরনঃ (বড় এক বাটি রান্না)
– মুগ ডাল, ২০০ গ্রাম
– মুরগীর মাংশ, ৩০০ গ্রাম  (ছোট পিস)
– এলাচি, দুইটা
– দারুচিনি, দুই তিন পিস (ইঞ্চি)
– পেঁয়াজ কুঁচি, মাঝারি দুইটা
– রসুন বাটা, এক চা চামচ
– মরিচ গুড়া, হাফ চা চামচের কম
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– কাঁচা মরিচ, কয়েকটা
– লবন, পরিমান মত
– তেল, ৮/১০ টেবিল চামচ (কম তেলে রান্না ভাল, তবে রান্না করার সময়ে খেয়াল বেশী রাখতে হয়!)
– জিরা গুড়া, হাফ চা চামচের কম বেশী।
প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
মুগ ডাল সামান্য ভেঁজে নিন। ভাঁজার পর পানিতে নিন এবং ধুয়ে উঠিয়ে নিন।

মুগ ডাল থেকে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
মুল রান্না, এবার কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে, পেঁয়াজ কুঁচি ভাঁজুন। এলাচি, দারুচিনি দিয়ে দিন।
পেঁয়াজ কুঁচির রঙ হলদে হয়ে এলে আদা ও রসুন বাটা দিন। ভাল করে ভাঁজুন। এবার মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিন এবং ভাল করে ভাঁজুন।
হাফ কাপের কম পানি দিন এবং আবারো কষিয়ে নিন। এবার মোরগের গোশত দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন।আগুনের আঁচ মাধ্যম থাকবে।
এবার মুগের ডাল দিয়ে দিন।মিশিয়ে নিন।

 দুই কাপ পানি দিন।পানি গা গা এসে যাবে। এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন। বেশি নাড়ানোর দরকার নেই।
এবার জিরা গুড়া দিয়ে দিন এবং মিশিয়ে নিন। (যারা ধনিয়া পাতা পছন্দ করেন তারা ধনিয়া পাতার কুঁচি দিতে পারেন)

পাতিল সহ টেবিলে নিয়ে যেতে পারেন, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আমরা আমরাই তো! রুটি বা পরোটার সাথে বেশ জম্বে।


Monday, April 13, 2015

কাঁচা কলার শাহী চপ

উপকরণ
কাঁচা কলা – ৪ টা (বড়)
পেঁয়াজ বেরেস্তা – ২ টেবিল চামচ (ঘি দিয়ে ভাজা)
কিশমিশ কুচি – দেড় টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ কুচি – ১ টেবিল চামচ (আপনার পছন্দ মত ঝাল দিতে পারেন)
ঘি – ১ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
জায়ফল গুঁড়া – ২ চিমটি
কাজু বাদাম – যে ক’টা চপ হবে সে ক’টা
ডিম – ১ টা
কর্ণ ফ্লাওয়ার – প্রয়োজন মত
প্রণালী
-কাজু বাদাম অল্প ঘিতে হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন।
-খোসা সহ কাঁচা কলা ভাল করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর খোসা ছাড়িয়ে লবণ দিয়ে ভর্তা করে নিন।
-এর পর একে একে পেঁয়াজ বেরেস্তা, কিশমিশ কুঁচি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, গরম মশলা গুঁড়া, জায়ফল গুঁড়া আর গলানো ঘি ভাল করে মিশিয়ে নিন কলা ভর্তার সাথে।
-এরপর যে ক’টা চপ বানাবেন সেই মত সমান ভাগে ভাগ করে নিন কলার ভর্তাকে। চপ তৈরি করে ফেলুন আর ভেতরে একটা করে ভাজা কাজু বাদাম পুরের মত করে দিয়ে দিন।
-ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন আধা ঘণ্টার মত। এর মাঝে এক বার উলটে দিবেন, নতুবা প্লেটের সাথে আটকে যাবে।
-একটা ডিম অল্প লবণ আর মরিচ গুঁড়া দিয়ে ফেটে নিন। চপ গুলো শুকনো কর্ণ ফ্লাওয়ারে গড়িয়ে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে গরম তেলে সোনালী করে ভেজে নিলেই কাঁচা কলার শাহী চপ তৈরি।
-আপনি চাইলে শুধু ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে অথবা ডিম বা কর্ণ ফ্লাওয়ার ছাড়া শুধু কলার চপ-ও গরম তেলে ভেজে নিতে পারেন। গরম ভাত বা পোলাও এর সাথে খুবই ভাল যায় এই চপ।

বৈশাখী রান্না


মজাদার ইলিশ কোরমায় বৈশাখের পেট

পান্তায় ইলিশ তন্দুরী!

কড়াই ইলিশ

হরেক রকমের ইলিশ রান্না, খুব সহজেই রাঁধুন

ভর্তা ভোজে বৈশাখ

ছানা-সবজির নিরামিষ


গরুর মাংসের কালাভূনায় হয়ে যাক বৈশাখী ভোজ

সরিষা-মাংস ভুনা

বৈশাখী ভোজে চাই ভর্তা, ভাত হোক গরম কিংবা পান্তা

দই-বেগুন বৈশাখী রান্না


জিলাপি তৈরীর সহজ রেসিপি

উপকরণ
ময়দা – ১ কাপ
কর্নফ্লাওয়ার – ২ চা চামচ
ইস্ট- ১ চা চামচ
তেল(সয়াবিন) – ১ চা চামচ
টক দই – ১ টে চামচ
উষ্ণ পানি- ১ কাপ বা এর চাইতে সামান্য কম
জিলাপি ভাজার জন্য তেল – ১ কাপ
চিনির শিরার জন্য লাগবে-
চিনি – ১ কাপ
পানি – ১ কাপ
লেবুর রস – ১ চা চামচ
প্রনালী
-সিরা তৈরির উপাদান ও জিলাপি ভাজার তেল বাদে বাকি সব উপাদান ভালো করে মিশিয়ে ১ ঘন্টা কোনো উষ্ণ জায়গায় রেখে দিন।
-এবার এক চুলায় কড়াইতে চিনি আর পানি ১৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে শিরা বানিয়ে নিন। ১৫ মিনিট হয়ে গেলে লেবুর রস দিয়ে একদম মৃদু আঁচে এ রাখুন।
-অপর চুলায় কড়াইতে তেল ভালো করে গরম করে জ্বাল কমিয়ে দিন। এবার জিলাপি ভেজে নিন।
-তেল যাথেষ্ট গরম করে তবেই জিলাপি ছাড়বেন ও কম জ্বালে এ ভাজবেন, নাহলে সাথে সাথে পুড়ে যাবে।
-জিলাপির রং কমলা বা জাফরানি এমনিতেই হবে কোনো ফুড কালার দেয়ার দরকার নেই।
-জিলাপি ভাজা হলে তেল ঝরিয়ে শিরায় দিন এবং ২ মিনিট রেখে তুলে ফেলুন তা না হলে নরম হয়ে খুলে যাবে।
-গরম গরম পরিবেশন করুন।
-জিলাপি তৈরির জন্য প্লাস্টিকের সসের বোতলে জিলাপির ব্যাটার ঢুকিয়ে জিলাপি তৈরি করুন, অনেক বেশী সোজা হবে।

চাইনিজ ভেজিটেবল

উপকরণ
১. ব্রকলি ১.৫ টা লম্বা লম্বা করে (বেশি ছোট হবে না)
২. বরবটি ২৫০ গ্রাম (লম্বা, বাঁকা করে কাটা)
৩. গাজর মাঝারি সাইজ (৫-৬ টা, এটাও বাঁকা করে কেটে নিতে হবে)
৪. পেপে মাঝারি সাইজ ১ টা (গাজর এর মত বাঁকা করে)
৫. বাঁধাকপি ৪ ভাগের এক ভাগ।
৫. ক্যাপসিকাম ১ টা লম্বা চিকন করে কাটা।
৬. কালো গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৭. সয়াসস (ডার্ক টা) ১ টেবিল চামচ
৮. কর্ণ ফ্লাওআর ২ টেবিল চামচ ১/২ কাপ পানিতে গুলে নিতে হবে
৯. চিনি ১ টেবিল চামচ
১০. চিকেন বুকের মাংস লম্বা টুকরা করা।
১১. গরম পানি ২ কাপ
১২. কর্ণ ফ্লাওয়ার সিদ্ধ করার জন্য
১৩. আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ করে
১৪. পেঁয়াজ (৪ ভাগ করে ছাড়িয়ে নিতে হবে)
প্রনালি
-ক্যাপসিকাম বাদে সব সবজি আলাদা ভাবে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ করার সময়ে একটু লবণ ও কর্ণ ফ্লাওয়ার মিক্স করে নিলে সবজির রঙ ঠিক থাকে। সবুজ রঙ আর সবুজ হবে। (যে সবজির যে রঙ সেটা আরও গাড় হবে)
-সবজি গুলো আধাসেদ্ধর একটু বেশি হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে গলে না যায়।
-সবজিগুলো থেকে পানি ছেঁকে নিতে হবে।
-এবার একটা প্যাণে তেল নিয়ে আদা ও রসুন হালকা সোনালি না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।
-হয়ে গেলে মুরগি দিয়ে ভাজতে হবে।
-সাথে একটু লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া ও সয়সস দিয়ে আর ৪-৫ মিনিট ভাজা ভাজা করতে হবে
-এবার ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ দিয়ে আর ১-২ মিনিট নেড়ে চেড়ে সব সবজি দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভালো করে নাড়তে হবে।
-এবার ২ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে রাখুন। পানি যখন একটু কমে যাবে বা ৫-৬ মিনিট পর ঢাকনা খুলে কর্ণ ফ্লাওআর গোলানো পানি দিয়ে (এই সময়ই তাড়াতাড়ি নাড়তে হবে) আর ২-৩ মিনিট রান্না করুন।
-এবার চিনি ও লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
টিপস-
১.সবজির রঙ ঠিক রাখার জন্য আলাদা আলাদা সেদ্ধ করলে ভালো।
২. অবশ্যই সেদ্ধ করার সময়ই কর্ণ ফ্লাওয়ার ও লবণ দেবেন। এটা সবজির রঙ ঠিক রাখে।
৩. ইচ্ছা করলে টেস্টিং সল্ট দিতে পারেন।

POPCORN-CHICKEN2 ‘পপকর্ন চিকেন’

উপকরণঃ
– ৪০০ গ্রাম হাড়ছাড়া মুরগীর মাংস
– ১ কাপ ময়দা
– আধা কাপ কর্ণফ্লাওয়ার
– ২ চা চামচ চিলি সস
– ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
– ২ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
– ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো বা সুজি
– ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– ফেটানো ডিম ২ টি
– স্বাদমতো লবণ
– ব্রেডক্রাম্ব পরিমাণ মতো (চাইলে মিষ্টি ছাড়া বিস্কিটের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন)
– তেল পরিমাণ মতো
পদ্ধতিঃ
– মুরগীর মাংস ছোটো করে কেটে এতে লবণ, মরিচগুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও লেবুর রস দিয়ে ২০-৩০ মিনিট মেখে রাখুন।
– কর্ণফ্লাওয়ার, ময়দা, চালের গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে রাখুন।
– এমাংসের ছোটো ছোটো পিস ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে ডিমে চুবিয়ে নিয়ে ব্রেডক্রাম্বের উপর গড়িয়ে নিন।
– একটি প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। তেল গরম হলে এতে মুরগীর টুকরো গুলো ছেড়ে সোনালী করে ভেজে একটি কিচেন টিস্যুর উপর তুলে রাখুন।
– এরপর একটি পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে সসের সাথে পরিবেশন করুন মুচমুচে ‘পপকর্ন চিকেন’।

সুজি দিয়ে “রসমাধুরী”

উপকরণ :
পিঠার জন্য লাগবে-
তরল দুধ – ১ লিটার
গুঁড়ো দুধ – ৩ টে চামচ
চিনি – ৬ টে চামচ
ঘি- ১ চা চামচ
তেল – ১ কাপ
সুজি – প্রয়োজন মত
পেস্তা বাদাম – ১/২ কাপ
সিরার জন্য লাগবে-
চিনি – ১/২ কাপ
পানি – ১ কাপ
তেজপাতা,এলাচ,দারচিনি – ১ বা ২ পিস করে
প্রনালি :
-পেস্তা বাদাম গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন, নরম হয়ে গেলে খোসা ছিলে কুচি করে রাখুন।
-হাঁড়িতে দুধ জ্বাল দিন ও সাথে তেজপাতা ও দারচিনি দিয়ে দিন।
-দুধে বলক এলে তেজপাতা ও দারচিনি তুলে নিন। এবার গুঁড়ো দুধ ও চিনি মিশিয়ে দিন। মিষ্টি যার যার স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে-কমিয়ে নিতে পারেন।
-এবার আস্তে আস্তে দুধে সুজি ঢালুন ও মিশিয়ে নিন এবং এভাবে আটার কাই এর মত করে কাই বানিয়ে নিন।
-কাই ঠান্ডা হলে হাতের তালুতে ঘি মেখে সুজির গোল গোল বল বানিয়ে নিন ভিতরে বাদাম কুচির পুর দিয়ে। চাইলে ছাঁচে দিয়ে নকশাও করতে পারেন।
-কড়াইতে তেল যথেস্ট গরম করে নিন এবং তার পর কম আঁচে সুজির বল গুলো ভেজে তুলুন।
-আরেকটি হাঁড়িতে পানি ও চিনি মিশিয়ে শিরা বানিয়ে রাখুন।
-শিরায় ২ টুকরা এলাচ দিয়ে জ্বাল দিন কিন্তু শিরা যেন ঘন না হয়ে যায়। পাতলা শিরা হবে।
-এবার সুজির বল গুলি শিরায় দিয়ে ১০/১৫ মিনিট অল্প আঁচে ঢেকে দিন।
-এবার সার্ভিং ডিশে সার্ভ করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুক এবং ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

সরষে মুরগি

উপকরণ
মুরগী – ৬/৭ টুকরো
পেঁয়াজ – ১ টা (বড়)
রশুন – ২/৩ কোয়া
আদা – ২ ইঞ্চি
হলুদ গুঁড়া – ১/৩ চামচ
মরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
কালো সরিষা – ১/২ চা
চামচ তেল -৩ টেবিল চামচ (চাইলে সয়াবিন তেলের সাথে সরিষার তেল মিশিয়েও ব্যাবহার করতে পারেন)
লবণ স্বাদ মত
প্রণালী
-পেঁয়াজ, রশুন, আদা আর সরিষা এক সাথে বেটে নিতে হবে। প্যানে তেল দিয়ে মরিচ আর হলুদ গুঁড়া দিয়েই মুরগীর টুকরো গুলো দিয়ে হাল্কা ভাজতে হবে।
-এরপর বেটে রাখা মশলা আর লবণ দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে অল্প গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
-ঢাকনা খুলে দেখে নিতে হবে যাতে প্যানে লেগে না যায়। প্রয়োজনে আবার একটু গরম পানি দিয়ে সেদ্ধ হওয়া অব্দি রান্না করতে হবে।
-মাখা মাখা মশলা থাকতে নামিয়ে ফেলতে হবে। আপনি চাইলে নামানোর আগে কিছু আস্ত কাঁচা মরিচ ছেড়ে দিতে পারেন সুঘ্রাণের জন্য।

সুজি দিয়ে “দোসা”

উপকরণ
১/২ কাপ সুজি
দেড় টেবিল চামচ ময়দা
দেড় টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো
দেড় টেবিল চামচ তেল
স্বাদ অনুযায়ী লবণ
১ কাপ পানি
১ চা চামচ আস্ত জিরা
১ চিমটি হিং (ইচ্ছা)
৩/৪ টি কারি পাতা (ইচ্ছা)
ধনিয়া পাতা কুচি দেড় টেবিল চামচ
২ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি
পিঁয়াজ মিহি কুচি ইচ্ছামত (ক্রিসপি চাইলে পেঁয়াজ দেবেন না)
তেল তাওয়া গ্রিজ করার জন্য
তেল, মাখন বা ঘি দোসায় দেয়ার জন্য
প্রণালি
-সুজি, চালের গুঁড়ো, ময়দা, লবণ ও পানি একত্রে মিশিয়ে নিন। একেবারে পাতলা ব্যাটার হবে।
-কড়াইতে তেল গরম করুন দেড় টেবিল চামচ। এতে আস্ত জিরা ফোড়ন দিন। জিরা ফুটে গেলে কারি পাতা ও হিং দিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি আপনার ব্যাটারে ঢেলে দিন ও ভালো করে মেশান।
-এবার বাকি উপকরণগুলো মিশিয়ে নিন।
-তাওয়ায় তেল মাখিয়ে ব্যাটার থেকে মিশ্রণ ঢালুন গরম তাওয়ায়। অনেকটা ছিট রুটি মতই চেহারা হবে। বেশী ফাঁক থাকলে অল্প ব্যাটার দিয়ে শুন্য স্থানগুলো ভরে দিন। উপর থেকে তেল, ঘি বা মাখন ছড়িয়ে নিন।
– মাঝারি হিটে ধৈর্য নিয়ে রান্না করুন কয়েক মিনিট। দোসা ক্রিস্পি হয়ে গেলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
-পরিবেশন করুন গরম গরম।

দম মোরগ বৈশাখী রান্না

উপকরণ:
মোরগ ২টি (দুই কেজি), পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি, শুকনা মরিচ ফালি ৪টি, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, বেরেস্তা আধা কাপ, গরমমসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরা, এলাচি ৪টি, লবঙ্গ ৪টি, তেজপাতা ২টি, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, টমেটো বড় করে কাটা ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, মাঠা ৬ কাপ, মিষ্টিদই ২ টেবিল চামচ ও সরিষার তেল ১ কাপ।


প্রণালি:
মোরগ পরিষ্কার করে ৮ টুকরা বা পছন্দমতো টুকরা করে হলুদ, লবণ, দই ও মাঠা দিয়ে মাখিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। হাঁড়িতে তেল, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন বিছিয়ে মাংস সমান করে বিছিয়ে দিন। বেরেস্তা ও গরমমসলার গুঁড়া বাদে বাকি সব উপকরণ পর্যায়ক্রমে দেওয়ার পর ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ঢাকনার ওপর গরম পানির হাঁড়ি বসিয়ে ১ ঘণ্টা অল্প জ্বালে রান্না করুন। ঝোল কমে এলে বেরেস্তা ও গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে নিন।

বৈশাখী রান্না


মজাদার ইলিশ কোরমায় বৈশাখের পেট

পান্তায় ইলিশ তন্দুরী!

কড়াই ইলিশ

হরেক রকমের ইলিশ রান্না, খুব সহজেই রাঁধুন

ভর্তা ভোজে বৈশাখ

ছানা-সবজির নিরামিষ


গরুর মাংসের কালাভূনায় হয়ে যাক বৈশাখী ভোজ

সরিষা-মাংস ভুনা

বৈশাখী ভোজে চাই ভর্তা, ভাত হোক গরম কিংবা পান্তা

দই-বেগুন বৈশাখী রান্না


Popular Posts

Bangladeshi food Recipe